top of page
Search

Peter Higgs: I wouldn't be productive enough for today's academic system

  • Writer: Shubhayan Mukherjee
    Shubhayan Mukherjee
  • Mar 23, 2024
  • 3 min read
ree

Peter Higgs, এই নামের সাথে পরিচয় হয় তখন আমি একাদশ শ্রেনীতে পড়ি। নোবেল পেলেন পদার্থবিদ Peter Higgs, আর তার থেকেও বড়ো কথা Higgs-Boson Particle। অকপটে স্বীকার করছি, কিচ্ছু বুঝিনি প্রথমে। Key Words এর মতো কতগুলো শব্দ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছিলাম - LHC, CERN, Higgs-Boson ইত্যাদি। তার আগে একটু আধটু নাড়াচাড়া করেছিলাম Curiosity Rover নিয়ে।

বিজ্ঞান ছিলো পছন্দের বিষয়, অংক এবং পদার্থবিজ্ঞান একটু বেশি গুরুত্ব পেয়েছিলো মাধ্যমিকে, তখনও পদার্থবিদ্যার আলাদা মাধুর্যের স্বাদ পাইনি বাংলা মাধ্যমের ছাত্র হওয়ায়। সুতরাং, আর পাঁচজনের মতো একাদশ শ্রেনীতে পৌঁছেই আঁকড়ে নিয়েছিলাম বিষয়টাকে। সবটাই যে যথেষ্ট বুঝে, ভালোবেসে, তা অবশ্যই নয়। পড়ছি সবে Newtonian Mechanics আর ওদিকে বিজ্ঞের মতো বোঝার চেষ্টা করছি Boson Particle। এখন ভাবলেও হাঁসি পায়। যাই হোক, সময়ের নিয়মে কলেজের তৃতীয় বর্ষে গিয়ে Statistical Mechanics ও Particle Physics একই সাথে পড়লাম। Stat Mech আমার বেশ ভালো লেগেছিলো, কারণ টা অবশ্যই দীপাঞ্জন দা। এতো সুন্দর করে Ensemble থেকে বোঝানো শুরু করেছিলো পাঠরিয়া থেকে, সত্যি আজও মনে পরে। Thermodynamics আমার পছন্দের বিষয় থাকায়, Stat Mech শুরু করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। যাই হোক, ২০১৭-১৮ আসতে আসতে ওদিকে Particle Accelerator বুঝলাম আর এদিকে Bose-Einstein Statistics। খুব অল্প হলেও একটা ধারণা তৈরি হলো ২০১৩ তে উত্তেজিত হওয়া Prof. Higgs এর কাজ নিয়ে।

আজকের লেখা সেই মানুষ কে নিয়ে, Nobel laureate Prof. Peter Higgs। সাম্প্রতিক ওনার একটি সাক্ষাৎকার পড়লাম The Guardian পত্রিকায়। সাক্ষাৎকার টি আজ থেকে ১১ বছর আগের। কিন্তু, আজও পড়ে মনে হলো ঠিক ততোটাই তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রতিবেদনের শিরোনাম "I wouldn't be productive enough for today's academic system"। সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে, একজন নোবেলবিজয়ী মানুষ ঠিক কীভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং পারিপার্শ্বিকতার নিরিখে তার যথেষ্ট আলোচনা করার মতো মানসিক শক্তি প্রকাশ করেন। এবার আলোচনা প্রেক্ষিতে এর অনেকগুলো কারণ উঠে আসতেই পারে। অন্যতম হলো - ওমন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গিয়ে এমন মন্তব্য করা যায় হয়তো (Self criticism)।

আমি যখন প্রতিবেদনটি পড়ছিলাম, তখন শুধুমাত্র সেই প্রতিবেদনে ওনার বক্তব্য থেকে অনেক কিছু শিখলাম। জানিনা, Academic সাফল্য মানুষ কে মানুষ হিসাবে প্রকাশ হতে সাহায্য করে কিনা, অবশ্যই বয়স ও অভিজ্ঞতা অন্যতম দুই সূচক (parameter)।

একটা জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে,

Higgs said he became "an embarrassment to the department (University of Edinburgh) when they did research assessment exercises". A message would go around the department saying: "Please give a list of your recent publications." Higgs said: "I would send back a statement: 'None.' "

আমি একজন খুবই সাধারণ গবেষণার ছাত্র, এবং ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যায়। তবুও এই লাইনগুলো গায়ে কাঁটা দিলো। জানি, সময় বদলেছে। Impact Factor আর Citation এর কারখানায় হিসাব হয় Production এর ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু, এটা তো তখনও ছিলো। তাহলে, আজ কেনো বিশেষজ্ঞ academician রা সেটার পরিবর্তন করতে অক্ষম? কারণ কি বাজারের নিয়ন্ত্রণ? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যে সমাজ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে নিজস্বতার অভাব থাকা সত্ত্বেও "ভালো" গবেষণা পত্রিকায় গবেষণা প্রকাশিত হতে পারে, সেই সমাজের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করাও হয়তো অন্যায়। এবার প্রশ্নটা হলো, আমরা কি করছি? আমরাও তো গড্ডারিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলাম। মাথা হেঁট করছি বাজারের কাছে। একটা Nature কিংবা একটা Science, কিন্তু কতোজন সেই পত্রিকার নাম ছাপিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় লিপ্ত হচ্ছি? অবশ্যই কিছু শতাংশ হচ্ছে, কিন্তু সংখ্যা টা? যারা হচ্ছে তাদেরও এই সমাজ দাঁড়িপাল্লায় তুলছে অর্থের প্রেক্ষিতে নির্লজ্জ ভাবে। Survival of the fittest এর ভুল বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা করছি খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে।

আরও একটি জায়গায় উল্লেখ আছে -

Edinburgh University's authorities then took the view, he later learned, that he "might get a Nobel prize – and if he doesn't we can always get rid of him".

আজকের অবস্থা, আরও শোচনীয়। বিক্রির ওপর নির্ভর করে ধার্য হচ্ছে গবেষণার গুরুত্ব। প্রতিপত্তিশালী রাষ্ট্র মদত যোগাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে আর আমরাও দৌড়াচ্ছি।

হয়তো কেউ বলতেই পারে, "আমি একপাক্ষিক আলোচনা করছি, আমি ভুল"। আমি সত্যিই চাই ভুল হতে।

বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে আমি যদি অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে অবিশ্বাস করি, তাহলে আমার থেকে মূর্খ আর কেউ হবে না কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সেই অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আমাদের পরিচালনা করতে পারেনা। পারলে সেটা বিজ্ঞানের পরাজয়, গবেষণার ব্যর্থতা।

শেষ করবো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য কে উল্লেখ করে৷

এক জায়গায় বলা হচ্ছে -

He regrets that the particle he identified in 1964 became known as the "God particle". He said: "Some people get confused between the science and the theology. They claim that what happened at CERN proves the existence of God."

এই নিয়ে আমার মন্তব্য করা হলো ধৃষ্টতা। সৃষ্টিকর্তার বক্তব্যই যথেষ্ট।

সবশেষে বলবো, আমি খুবই সাধারণ এক গবেষণার ছাত্র মাত্র। আমি জানিনা নিজের গবেষণায় আসার মানসিকতা ও তার আদর্শ কে ঠিক কতোটা সম্মান করতে পারবো ভবিষ্যতে। কিন্তু, চেষ্টা থাকবে সারাজীবন। Original Interview published by

The Guardian

Fri 6 Dec 2013 17.37 GMT

 
 
 

Comments


Quantum Reality

©2022 by Shubhayan Mukherjee. Proudly created with Wix.com

bottom of page